• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Committee

রাজ্য

উপাচার্য নিয়োগে জটিলতা কাটাতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, গঠন করা হবে সার্চ কমিটি

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব চরমে চলছে। এরইমধ্যে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল নবান্ন। রাজ্য সরকারের যুক্তি, আনন্দ বোস যে পদ্ধতিতে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তা আইনসম্মত নয়। রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই এককভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য। এদিন ছিল সেই মামলার শুনানি। নির্দেশে জানানো হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য শীর্ষ আদালতই সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে। সেই সার্চ কমিটিতে কাদের সদস্য করা হবে সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল এবং ইউজিসি-কে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩ থেকে ৫ জনের নাম পাঠাতে হবে। সেই সুপারিশ করা নামের মধ্যে থেকে ব্যক্তিদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সার্চ কমিটি গঠন করবে। যে কমিটি স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে।সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, রাজ্যপাল আচার্য হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের নিয়োগ কর্তা। অর্থাৎ তিনি অ্যাপয়ন্টিং অথরিটি। কিন্তু রাজ্যপাল উপাচার্যদের নির্বাচন কর্তা নন। কারণ, রাজ্যপালের কাছে কোনও সিলেকশন কমিটি নেই।এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ সেপ্টেম্বর।শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্য-রাজ্যপালের ভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু আদালত তার মধ্যে ঢুকতে চায় না। আদালত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের লক্ষ্যে শুধু পদক্ষেপ করবে।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩
কলকাতা

ইউজিসি'র নতুন কমিটিতে বাংলা থেকে কোনও প্রতিনিধি না থাকার প্রতিবাদে গর্জে উঠলো বাংলা পক্ষ

ইউজিসির (UGC) নবগঠিত পূর্বাঞ্চলীয় কমিটিতে পশ্চিম বাংলার ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনও প্রতিনিধি না থাকায় ইউজিসির (UGC) বাংলা ও বাঙালির প্রতি বিদ্বেষেরপ্রতিবাদে শুক্রবার বাংলা পক্ষ এক বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেয়।বাংলা পক্ষের দাবী, বিজেপি শাসিত দিল্লির কেন্দ্র সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত UGC র কোনও আঞ্চলিক কমিটিতে বাংলা থেকে একজনকেও রাখেনি। তাঁরা জানায়, পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য এই পশ্চিম বঙ্গ। বাংলায় ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কিন্তু ইউজিসির পূর্বাঞ্চলের কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি জায়গা পায়নি। এতে ইউজিসির বাংলা ও বাঙালির প্রতি ঘৃণা স্পষ্ট। বিজেপির বাঙালির সাথে শত্রুতার আরও একটা জ্বলন্ত উদাহরণ বলে ব্যখ্যা করেন।তাঁরা আরও বলেন, দিল্লির দ্বারা বাংলা ও বাঙালিকে বঞ্চিত করার নজির নিত্য-ই দেখা গেছে। যেখানে যাদবপুর ও কলকাতার মত ভারতের দুটো সর্বশ্রেষ্ঠ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় বাংলায়, সেখান থেকেও কাউকে রাখা হয়নি এই কমিটিতে। পূর্বাঞ্চলের সেরা ৫ টি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩ টিই বাংলার। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চিংড়িঘাটার পাশে ইউজিসির আঞ্চলিক করণের বাংলা পক্ষ বিক্ষোভ কর্মসূচী করল এবং শেষে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর চব্বিশ পরগনার শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, সৌম্য বেরা, প্রীতি মিত্র, কৌশল দাস, সঞ্চয়িতা হালদার, সিদ্ধার্থ দাস, মামুদ প্রমুখ। তিনজনের প্রতিনিধি দল ইউজিসির (UGC) পুর্বাঞ্চলিক করণের ডেপুটি সেক্রেটারি ডঃ অমল এম আন্ধ্রে -র সাথে দেখা করেন এবং দাবি রাখেন যাতে এই বাঙালি বিদ্বেষী কমিটি অবিলম্বে বাতিল করা হয়। তাঁরা খুব পরিষ্কার ভাষায় বাংলা ও বাঙালির ক্ষোভের কথা তাঁকে বুঝিয়ে বলেন। বৈঠকের শেষে ডঃ অমল এম আন্ধ্রে জানান, তিনি বাংলা পক্ষর এই ক্ষোভের কথা, বাঙালির এই বঞ্চনার কথা দিল্লিতে ইউজিসির (UGC) কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। তিনি আজকের প্রতিবাদ পত্র ইউজিসির (UGC) সেক্রেটারিকে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিনিধি দলকে। প্রসঙ্গত, ইউজিসির (UGC) এই আঞ্চলিক করণ দিল্লিতে স্থানান্তিত হচ্ছে, আজই কলকাতায় এই অফিসের শেষ দিন। এভাবে বাংলা থেকে একের পর এক কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের স্থানান্তরে ক্ষুদ্ধ বাংলা পক্ষ।কৌশিক মাইতি বলেন, আমরা ইউজিসির (UGC) পূর্বাঞ্চলীয় কমিটি দেখে স্তম্ভিত। পূর্বাঞ্চলীয় কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি নেই! ভারতের শ্রেষ্ঠ দুটো রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরও বাংলার ৪০ টা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রতিনিধি নেই! ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই৷ বিজেপি মানেই বাংলা ও বাঙালির শত্রু। ইউজিসি (UGC) ও এতটা বাঙালি বিদ্বেষী? হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী কেন্দ্র আর কত রকম ভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করবে? বাংলা পক্ষ লড়ছে। এই লড়াই আমরা জিতবো। নাহলে লড়াই তীব্রতর হবে। বাঙালির এই বঞ্চনা, এই বাঙালি বিদ্বেষ আমরা মানবো না।

ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
রাজ্য

বড় খবরঃ শয়ে শয়ে ভুয়ো নিয়োগ, এসএসসিতে বড়সড় দুর্নীতি! আদালতে রঞ্জিতকুমার বাগ কমিটির রিপোর্ট

এসএসসি গ্রুপ সি দুর্নীতিতে শিক্ষা পর্ষদের উপাদেষ্টা-সহ কর্তাদের নাম জড়িয়ে গেল। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ কমিটি এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে। ১৮ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। রঞ্জিতকুমার বাগ কমিটির পক্ষে আইনজীবী অরুনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, ৩৮১ জনের নিয়োগে নানা দুর্নীতি রয়েছে। তার মধ্যে ২২২জন পরীক্ষায় অংশই নেননি।বিচারপতি বাগ রিপোর্টে জানিয়েছে, ৫ জনের কমিটি বেআইনিভাবে গঠন করা হয়েছে। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপারিশে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আদৌ তা আইনসম্মত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। বড়সড় দুর্নীতি হওয়ায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে এদিন।সূত্রের খবর, বাগ কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে ভুয়ো সুপারিশপত্রের সঙ্গে জড়িয়েছেন কল্যানকুমার গঙ্গোপাধ্যায়। মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর ৩৯১ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। ২২২ জনের কোনও প্যানেলে বা ওয়েটিং লিস্টে নাম ছিল না। তাঁদের পার্সোনালিটি টেস্টই হয়নি। এরা কেউ লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এরা সুপারিশপত্র পেয়ে নিয়োগপত্র হাতে পান। তাঁদের নিয়োগও করা হয়েছে।আদালত সূত্রে খবর, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সৌমিত্র রায়, অশোককুমার সাহারা এই কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর পাশাপাশি আরও একাধিক নামের উল্লেখ রয়েছে বিচারপতি বাগের রিপোর্টে। শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সৌমিত্র রায়,অশোককুমার সাহাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলায় এফআইআর করা যেতে পারে বলে বিচারপতি বাগের রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে।

মে ১৩, ২০২২
রাজনীতি

জল্পনার অবসান, সর্বভারতীয় সভাপতি পদে অভিষেকেই আস্থা মমতার

সব জল্পনার অবসান। দল পরিচালনায় নিজের পর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই আস্থা রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুক্রবার পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরিয়ে এনেছেন মমতা। তবে অভিষেকের পদ অক্ষুন্ন থাকলেও অন্য বেশ কিছু সাংগঠনিক পদে রদবদল করেছেন নেত্রী।গত ১২ ফেব্রুয়ারির পর তৃণমূলের সমস্ত সর্বভারতীয় পদ বিলোপ করা হয়েছিল। ২০ জন সদস্যের নবগঠিত জাতীয় কর্মসমিতির চেয়ারপার্সন হন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। ওই কর্ম সমিতি শুক্রবার বৈঠক করে নতুন পদাধিকারীদের নাম স্থির করেছে। সেখানেই অভিষেক কে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক পদের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়।জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের একথা জানান৷তিনি বলেন,দলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে। দলের তহবিলের দেখভাল করবেন অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও ঠিক হয়েছে অর্থনৈতিক ও বিদেশনীতির ব্যাপারে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে তা দেখবেন অমিত মিত্র এবং যশবন্ত সিনহা। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সাংগঠনিক কাজ দেখবেন সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক ও মুকুল সাংমা।উল্লেখ্য, সংসদের অধিবেশনের সময় রাজ্যসভার মুখপাত্র হিসাবে থাকবেন সুখেন্দু শেখর রায় ও লোকসভার মুখপাত্র হবেন ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। দিল্লিতে দৈনিক সাংবাদিক সম্মেলন করতে তিনজনের কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা দিল্লি থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই তিনজনের মধ্যে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র, সুখেন্দু শেখর রায় ও কাকলি ঘোষ দোস্তিদার। দলের কার্যনির্বাহী ও জাতীয় নীতি নির্ধারন কমিটির দায়িত্ব সামলাবেন যশবন্ত সিনহা ও ড. অমিত মিত্র। উত্তর পূর্বে দলের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুকুল সাংমা, সুবল ভৌমিক ও সুস্মিতা দেবকে। পাশাপাশি হরিয়ানায় তৃণমূলের কনভেনার করা হয়েছে অশোক তানওয়ারকে। উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের কনভেনার করা হয়েছে রাজীব ত্রিপাঠিকে।গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি ও সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন ফিরহাদ হাকিম। মূলত যেটা নিয়ে জল্পনা ছিল তার অবসান ঘটিয়েছেন খোদ নেত্রী। সাংসদ অভিষেককেই ফের ফেরানো হয়েছে তাঁর পুরানো পদে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের মাথায় রেখেই সমস্ত পদ সাজানো হয়েছে বলে শাসক দল সূত্রে খবর।গত শনিবার ২০ জনের যে জাতীয় কর্ম সমিতি গড়া হয়েছে তাতে রয়েছেন সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এছাড়াও রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, যশবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সুখেন্দুশেখর রায়, অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম দেব, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বুলুচিক বরাইক, রাজেশ ত্রিপাঠী, অসীমা পাত্র ও মলয় ঘটক।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজনীতি

উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

চার পুরসভার নির্বাচনের ফলাফল ৪০ দেখে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে ফিরবেন ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপরই তৃণমূল সুপ্রিমো জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক ডেকেছেন নিজের বাসভবন কালীঘাটে। সম্প্রতি তিনি সব শীর্ষ পদ অবলুপ্ত করে দিয়ে জাতীয় কর্মসমিতি গঠন করেন। তৈরি হয়েছে ওয়ার্কিং কমিটি। এবার বিশেষ বৈঠক।সম্প্রতি দলে এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে হাজার টানাপোড়েনের মাঝেই পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শনিবার বিকেলে তিনি দলের সমস্ত শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানেই সমস্ত পদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে নতুন করে জাতীয় কর্মসমিতি গড়ে দেন। নতুন কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন দলের বর্ষীয়ান নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই কর্মসমিতিতে রয়েছেন মোট ১৯ জন। তবে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় মোট ১৬ জনের নাম ঘোষণা করেছেন। পরে পূর্ণাঙ্গ তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার কালীঘাটে দলের জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৭ তারিখ ফিরেই তিনি ১৮ তারিখ বৈঠকে বসবেন। সেখানে কিছু পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করতে পারেন তিনি। এখন জাতীয় কর্মসমিতির শীর্ষে রয়েছেন চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে।কেন এই বৈঠক ডাকলেন তড়িঘড়ি? সূত্রের খবর, চার পুরসভার মধ্যে তিনটির মেয়র পদ ঘোষণা করতে পারেন তিনি। দলের কয়েকটি পদে কারা বসবেন জানাতে পারেন তিনি। এখন অন্যান্য রাজ্যে কিভাবে সংগঠন গড়ে তোলা হবে তা নিয়ে নির্দেশ দিতে পারেন তিনি। এমনকী শীর্ষ পদাধিকারীদের নামও ঘোষণা করতে পারেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
রাজনীতি

সভানেত্রীর পদ ছাড়া সমস্ত জাতীয় পদের অবলুপ্তি, মমতার বৈঠকে ঘোষিত ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি

এক ব্যক্তি এক পদ নীতি নিয়ে দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধের আবহে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৌরহিত্যে শনিবার কালীঘাটে তাঁর বাসভবনে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে কুড়ি জন সদস্যর নাম চূড়ান্ত করা হয়। সাংগঠনিক নির্বাচনের ১০ দিনের মাথাতেই ঘোষিত হলো তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন জাতীয় কর্মসমিতির। কমিটিতে যেমন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, তেমনই রাখা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। দলের বর্ষীয়ান নেতাদের পাশাপাশি জেলার একাধিক নেতাকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসা হয়েছে। একইসঙ্গে দলের সভানেত্রীর পদ ছাড়া বাকি সব পদের অবলুপ্তি ঘটানো হয়েছে।সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূলে সমস্ত জাতীয় স্তরের শীর্ষপদের আপাতত অবলুপ্তি ঘটানো হল। অবলুপ্তি ঘটালেন স্বয়ং মমতাই! বদলে গড়া হয়েছে ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি। যারা দলের কাজ দেখাশোনা করবে। কর্মসমিতির মাথায় রয়েছেন মমতা নিজে।তৃণমূলের অন্দরের ব্যাখ্যা, এই পদক্ষেপের মমতা আরও একবার দলের অন্দরে নিজের অবিসংবাদী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করলেন। বস্তুত, সূত্রের দাবি, বৈঠকে উপস্থিতি নেতারা সকলেই মমতার হাতে দলের দায়িত্ব পরিপূর্ণ ভাবে অর্পণ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, মমতাই দলে শেষ কথা। নেতাদের সাক্ষর সংবলিত সেই বার্তাও দলনেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের আরও দাবি, বৈঠকে সকলের সামনেই মমতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কদিন ধরেই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অন্দরের ক্ষোভ যেভাবে প্রকট হয়েছে তাতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। এমনকী, এক ব্যক্তি এক পদ চালুর দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের তরুণ প্রজন্মের নেতা-নেত্রীদের লাগাতার প্রচারেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। কিছুটা হলেও ভুল বার্তা যাচ্ছিল সাধারণ মানুষের কাছে। পরিস্থিতি সামলাতে এদিন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠক চলে।বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আজকের বৈঠকে দলের নতুন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করেছেন নেত্রী। জাতীয় কর্মসমিতি গঠন সম্পূর্ণ হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশনের কাছে জানিয়ে দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত মিত্র, যশোবন্ত সিনহা, সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কাকলি ঘোষদস্তিদার, সুখেন্দুশেখর রায়, অনুব্রত মণ্ডল, গৌতম দেব, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বুলুচিক বরাইক, রাজেশ ত্রিপাঠী, অসীমা পাত্র ও মলয় ঘটক। জাতীয় কর্মসমিতির সভানেত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের বাকি পদাধিকারীদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

Gangasagar new Committee: হাইকোর্টের নির্দেশে শুভেন্দুকে ছাড়াই গঙ্গাসাগরের নতুন কমিটি

গঙ্গাসাগর মেলায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে উল্লেখ্য, নতুন নজরদারি কমিটি থেকে বাদ পড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুরনো তিন সদস্যের কমিটি বাতিল করে ২ সদস্যের কমিটি গঠন করল হাইকোর্ট। কমিটির নেতৃত্বে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। কমিটিতে রয়েছেন লিগ্যাল সার্ভিসেসেস সদস্য সচিব। রাজ্যের মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৭ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে আদালতের দেওয়া অন্যান্য যাবতীয় নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। বিধি লঙ্ঘন হলে নজরদারি কমিটি তৎক্ষণাৎ মেলা বাতিলের নির্দেশ দিতে পারবে। তবে মঙ্গলবারের নির্দেশে আরও স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, গোটা গঙ্গাসাগর এলাকাটাই এখন নোটিফায়েড এরিয়া অর্থাৎ যেখানে রাজ্যের বিধি কায়েম হতে পারে যে কোনও সময়ই।রাজ্যে করোনা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। এই পরিস্থিতিতে এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখা উচিত। এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। এর সঙ্গে আরও পাঁচটি মামলা হয়। সব মামলাগুলি একত্র করে হাইকোর্টে শুনানি হয়েছিল। শুনানির পর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেখানে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন ওঠে, ওই কমিটিতে যে সব সদস্য রয়েছেন, তাঁরা কোভিড নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।শুধু শুভেন্দুর থাকা নয়, আগের কমিটি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। পুরনো কমিটিতে রাখা হয়েছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে। ওই পদে নিয়োগ এখনও আটকে রয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, যে পদে নিয়োগই হয়নি, সেই পদের পদাধিকারী কী করে কমিটিতে থাকেন? এর পরই নতুন কমিটি গড়ার পক্ষে রায় দেয় হাইকোর্ট।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

WBMPAF: ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন

শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার্স আর্টিস্টস ফোরামের বার্ষিক সাধরণ সভায় অনিষ্ঠিত হয়। এই সভায় নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক। কার্যনির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হলেন জীতেন্দ্র মাদনানি ওরফে জিৎ। সহ- সভাপতি পদে মোট পাঁচ জনের নাম আছে, তাঁরা হলেনঃ১। সব্যসাচী চক্রবর্তী২।সুমন্ত মুখোপাধ্যায়৩।কৌশিক সেন৪।অপরাজিতা আঢ্য৫। ভরত কল।সাধারণ সম্পাদকের পদে নির্বাচিত হয়েছেন অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। যুগ্ম সম্পাদক পদে দিগন্ত বাগচীর সঙ্গে নতুন নাম অঙ্কুশ হাজরা। নতুন দায়িত্ব পেয়ে খুশি অভিনেতা। তিনি জানিয়েছেন দায়িত্ব আরও বেড়েছে।শিল্পী সংগঠনের নতুন কমিটিতে সহকারী সম্পাদক কুশল চক্রবর্তী এবং শুভাশিস মিত্র। তাপস চক্রবর্তী কোষাধ্যক্ষ। সোহন বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন সহকারী কোষাধ্যক্ষ পদে। পার্থসারথি দেব, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পায়েল দে, শুভ্রজিৎ দত্ত, অনিন্দ্য চক্রবর্তী এবং শঙ্কর চক্রবর্তীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সাত সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদ।

জানুয়ারি ০৯, ২০২২
রাজনীতি

BJP New State Committee: বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল

বিজেপির রাজ্য কমিটিতে বড়সড় রদবদল। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অগ্নিমিত্রা পলকে । একই সঙ্গে যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরানো হল সৌমিত্র খাঁকে । রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার নয়া সভানেত্রী হলেন তনুজা চক্রবর্তী। যুব মোর্চার নয়া সভাপতি হলেন ডা: ইন্দ্রনীল খান। মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অগ্নিমিত্রা পলকে-কে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। সৌমিত্র খাঁকে করা হয়েছে সহ-সভাপতি। রাজ্য কমিটি থেকে বাদ গিয়েছেন সায়ন্তন বসু। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, দীপক বর্মন এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যাকে। দলের সহ-সভাপতি করা হয়েছে জগন্নাথ সরকার, অর্জুন সিং, খগেন মুর্মুকে। আদি বিজেপি এবং নয়া বিজেপির মিশ্রণেই এই রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির তালিকা। pic.twitter.com/aIgDgc3X8k BJP Bengal (@BJP4Bengal) December 22, 2021একুশের বিধানসভা ভোটই হোক বা সদস্য সমাপ্ত কলকাতা পুরভোট। দুক্ষেত্রেই বিপর্যয়ের মুখ দেখেছে বিজেপি । বিধানসভায় ডবল ইঞ্জিন সরকারের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ভোট শতাংশের হিসেবে কলকাতায় তৃতীয় স্থান পেয়েছে গেরুয়া শিবির। ফলে আগামী পুর এবং কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোকে মাথায় রেখেই এবারের রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্য কমিটিতে শহরকেন্দ্রীক নেতাদেরও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শাসক দলের সঙ্গে টক্কর দিয়ে লড়তে পারবে এবং সংগঠনের দিকেও নজর দিতে পারবে এমন মুখকেই তুলে আনা হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের একাংশের মত।এর পাশাপাশি জ্যোতির্ময় মাহাতোকেও রেখে দেওয়া হয়েছে নতুন কমিটিতে। বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটিতে-সহ সভাপতি থাকছেন ১১ জন। সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছে পাঁচ জনের নাম। বিজেপির সাংগঠনিক পরিকাঠামো অনুযায়ী, সভাপতি পদের পরেই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর পদ এবং অন্যান্য সাধারণ সম্পাদকেরা।উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। দলের বাইরে হোক বা দলের অন্দরে, এই ধরনের প্রশ্নবাণ সামাল দিতে মাঝে মধ্যেই নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। সদ্য সমাপ্ত কলকাতা পুরভোটের ফলাফলের পরেও সেই একই প্রশ্ন অনেকেই তুলতে শুরু করেছিলেন। আর ঠিক তার একদিন পরেই এই ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২১
দেশ

Pegasus Row: পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা, নিরপেক্ষ কমিটি দিয়ে তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

পেগাসাস কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে নিরপেক্ষ কমিটি দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কমিটির মাথায় থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রণ । এছাড়া থাকবেন অলোক যোশী এবং সাইবার সিকিওরিটি ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ। আট সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, বুধবারের শুনানিতে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। কেন্দ্রের জবাব সন্তোষজনক নয় বলে জানান।আগের শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আদালতের তরফে একটি কমিটি তৈরি করা হতে পারে। বুধবার সেই পদক্ষেপই নেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, এদিন পর্যবেক্ষণ পেশ করার সময় প্রায় প্রতিটি ছত্রে ছত্রে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানান, সাংবিধানিক রক্ষাকবজের কথা বলে কখনই ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যায় না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও খর্ব করা যায় না। তেমনটা হলে, তা গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে খারাপ নজির তৈরি করবে। আদালত আরও জানায়, পেগাসাস কাণ্ডে কেন্দ্রকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার যে অজুহাত কেন্দ্র দিচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট সমর্থন করে না। এদিন গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংবাদিক বৈঠক থেকে চড়া সুরে বিজেপিকে বিঁধলেন ডেরেক ওব্রায়েন। তিনি বলেন, বর্ষাকালীন অধিবেশনে পেগাসাস কাণ্ডের কথা সংসদে তুলতেই দেয়নি বিজেপি। কিন্তু আজ কী হল! সত্যিটা আজ সবার কাছে প্রমাণিত হয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্টের কথায় বিজেপি ধরা পড়ে গিয়েছে।BOOM. There you go👇So BJP (and not the Opposition) were solely responsible for DISRUPTING THE ENTIRE MONSOON SESSION of #Parliament https://t.co/jtVV3i3nVU Derek OBrien | ডেরেক ওব্রায়েন (@derekobrienmp) October 27, 2021সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের এই রায়। গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। এটাই সকলে চাইছিল। এতে বের হয়ে যাবে কে পেগাসাসকে দিয়ে হ্যাকিং করিয়েছিল।

অক্টোবর ২৭, ২০২১
দেশ

Pegasus Supreme Court: পেগাসাস কাণ্ডের তদন্ত করবে বিশেষ কমিটি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

পেগাসাস কাণ্ডে তদন্ত করতে এ বার বিশেষ কমিটি গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার সকালে পেগাসাস মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এনভি রমন এই নির্দেশই দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই এই কমিটি সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।চলতি বছরের জুলাই মাসে বাদল অধিবেশনের শুরুর আগেরদিনই সামনে আসে পেগাসাস কাণ্ড। দাবি করা হয়, পেগাসাস নামক একটি ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংবাদিক, শিল্পপতিদের উপর। বিরোধীরা এই বিষয়ে তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয়। এরপরই পেগাসাস নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে।আরও পড়ুনঃ বিমানবন্দরে ভারতীয় আমেরিকানদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আপ্লুত মোদিপ্রধান বিচারপতি জানান, পেগাসাসকাণ্ডের তদন্তে টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও বেশকিছু বিশেষজ্ঞ এই কমিটির সদস্য হওয়া থেকে পিছু হঠেছেন। আগামী সপ্তাহেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেগাসাস মামলার শুনানিতে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের অপব্যবহার করা হয়েছে কি না তা কেন্দ্রের কাছে স্পষ্ট জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও এ বিষয়ে হলফনামা দাখিল করতে নারাজ থাকে কেন্দ্র। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করে জনসমক্ষে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকে সরকার। এরপর পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তের দাবিতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার জেরে সুপ্রিম কোর্টে তিন পৃষ্ঠার হলফনামা দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু ইজরায়েল থেকে স্পাইওয়্যার কেনা হয়েছিল কি না, তা খোলসা করা হয়নি সেই হলফনামায়।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
রাজ্য

Maldah Child death: মালদা মেডিক্যাল কলেজে আরও ২ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

বুধ এবং বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং শুকনো কাশির সমস্যা নিয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাজমহলে। অন্যজন মালদহের ভুতনি এলাকার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। চিকিৎসার তেমন সুযোগ মেলেনি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে গত তিন দিনে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৫ শিশুর মৃত্যু হল। এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে আরও ১৭৮ জন শিশু সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন। আরও পড়ুনঃ সকালের আলো ফুটতেই কেঁপে উঠল সিচুয়ান প্রদেশবুধবার রাতে দুজন এবং বৃহস্পতিবার সকালে একজন শিশু মারা গিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃত তিন শিশুই সদ্যজাত ছিল। কারও বয়স ৭ বছর, কারও বয়স ৫ বছর। তাদের শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্টও ছিল। শিশুদের এই জ্বরের চিকিৎসা করতে ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কতৃপক্ষ। শিশুদের জ্বর মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচ বিশেষজ্ঞের কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার উত্তরবঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। শিশুমৃত্যু নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান সুষমা সাউ বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে মোট পাঁচ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুজন করে এবং শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শিশুদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
রাজ্য

Mamata Bannerjee: পুজোয় ঠাকুর দেখতে পারবেন? কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পুজো হবে কোভিডবিধি মেনেই। মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তবে পুজো হলেও রাতে দর্শনার্থীরা ঠাকুর দেখতে বেরতে পারবেন কি না বা অন্যান্য বছরের মতো পুজো কার্নিভাল হবে কি না, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেই অনুযায়ী পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। সেখানে পুজো কমিটিগুলির প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, আগের বছর সরকার যে সমস্ত নিয়ম ঘোষণা করেছিল, এ বছরও তা কার্যকর থাকছে। ফলে আপনাদের কোনও অসুবিধা হবে না। নিয়ম মেনে পুজো করতে পারবেন।আরও পড়ুনঃ শাস্ত্রী ও কোহলির ওপর অসন্তুষ্ট বোর্ড, চাওয়া হবে কৈফিয়ত গত বছর পুজোর আগে রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেখানে বলা হয়, খোলামেলা প্যান্ডেল করতে হবে। প্যান্ডেল চত্বরে রাখতে হবে মাস্ক ও স্যানিটাইজার। এ বছর সেই নিয়ম থাকবে জানিয়ে মমতা বলেন, ক্লাবে মাস্ক রাখবেন। স্যানিটাইজার রাখবেন। ক্লাব চত্বর স্যানিটাইজ করবেন। অনেক মানুষ পুজো দেখতে আসবেন। সকলের যাতে মাস্ক থাকে, নজর রাখবেন। মণ্ডপের মধ্যে মাস্ক বিলি করার ব্যবস্থাও করতে পারেন। মমতা আরও বলেন, গত বার পুজোর সময় রাতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এ বার কী করা যায়, তা নিয়ে কয়েক দিন পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। হাতে এখনও কিছুটা সময় আছে। এ ছাড়া, পুজোর বিসর্জন শুরু হবে ১৫ অক্টোবর থেকে, চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সেই নিয়ম মেনে ১৮ অক্টোবর পুজোর কার্নিভাল হওয়ার কথা। কিন্তু এ বিষয়েও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনল বিজেপি। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধি দল। তাদের বক্তব্য, ভোটের আগে বাড়তি সুবিধা পেতেই পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দিচ্ছেন মমতা। তৃণমূলনেত্রীর জন সমর্থন বাড়ানোর লক্ষ্যেই কমিটিগুলিকে এই আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
দেশ

Pegasus: পেগাসাস-কমিশন নিয়ে রাজ্যকে নোটিস শীর্ষ আদালতের

পেগাসাস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিশন বাতিলের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই মামলায় এ বার রাজ্যকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। রাজ্যের গঠন করা তদন্ত কমিশন খারিজের দাবিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছেন মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী সৌরভ মিশ্র। কিন্তু এখনই ওই কমিটি ভাঙার নির্দেশ দেয়নি আদালত।রাজ্য সরকার কমিটি গঠনের ঘোষণা করতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আইনজীবী মহলের একাংশের বক্তব্য ছিল, পেগাসাসের মতো আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করার এক্তিয়ারই নেই কোনও রাজ্য সরকারের। আদালতে মামলা হলেই খারিজ হয়ে যাবে ওই কমিটি। কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও এ দিন বলেন, এই তদন্ত কমিশন অসাংবিধানিক, এটুকুই বলতেই পারি।আরও পড়ুনঃ ১০০ পুরসভায় বড়সড় রদবদলউল্লেখ্য, বিরোধী নেতা, বিচারপতি, সাংবাদিক এবং সমাজকর্মীদের ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের ফোনেও নজরদারি চালানো হয়েছিল, এই রিপোর্ট সামনে আসতেই জুলাই মাসে দিল্লি সফরের আগেই তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা করে মমতা জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন বি লোকুর নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে ওই দুই সদস্যের তদন্ত কমিশন। বাংলার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার পরই মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ অগস্ট।

আগস্ট ১৮, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu: পিএসি কমিটির বৈঠক বয়কট শুভেন্দুর

প্রথা ভেঙে মুকুল রায়কে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করার কারণে আগামী ৩০ জুলাই বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির বৈঠক বয়কট করল বিজেপি। সোমবার নিজেই বিসয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে পেগাসাস কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত তদন্ত কমিশনকেও বেআইনি আখ্যা দিয়েছেন তিন। ফলে আগামী ৩০ জুলাই বিধানসভায় যে শুভেন্দু ও মুকুলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল, তা আপাতত হচ্ছে না।আরও পড়ুনঃ দিল্লি রওনার আগে বড় ঘোষণা মমতারশুভেন্দুর সাফ বক্তব্য, তৃণমূল রুল ৩০২ লঙ্ঘন করেছে। সেই কারণে বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হবে বলে এ দিন আবারও জানান তিনি। যদিও কবে আদালতে এই সংক্রান্ত মামলা করা হবে তা এখনও খোলসা করেননি শুভেন্দু। তিনি জানান, আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিজেপিও প্রস্তুত। সঠিক সময় এলেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, তৃণমূল বেআইনি কাজ করেছে। আইনি লড়াইটা আমরা করব। অন্যদিকে, আগামী ৩০ জুলাই হতে চলা পিএসি-র বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা ওই চেয়ারম্যানকে মানি না। আমি-সহ কেউ ওই চেয়ারম্যানকে স্বীকৃতি দিতে ওই বৈঠকে যাব না।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে রাজ্য সরকারের তৈরি তদন্ত কমিশন নিয়েও এ দিন তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র রাজনৈতিক গিমিক এবং প্রচারের জন্য এটা করেছেন। আর পশ্চিমবঙ্গে যত কমিশন গঠন করা হয়েছে, তার রিপোর্ট কেউ জানে না। এই সরকারের আমলে কোনও তদন্ত কমিটির রিপোর্টও প্রকাশ হয়নি। এটা কেবলই সস্তার রাজনীতি।

জুলাই ২৬, ২০২১
রাজনীতি

মুকুলের দলবদল, ৬৪ পৃষ্ঠার তথ্যপ্রমাণ অধ্যক্ষকে পাঠিয়েছেন শুভেন্দু

বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে তিনি প্রকাশ্যে দলনেত্রীর উপস্থিতিতে দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির দাবি, পিএসি কমিটির যে ৬ জনের সদস্যের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল তাতে মুকুল রায়ের নাম ছিল না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর হুঙ্কার, চেয়ারম্যান হয়েও সদস্যপদ টিকিয়ে রাখতে পারবেন না মুকুল রায়।মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে এদিনও হুঙ্কার ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, ইতিমধ্যে বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা হিসাবে আমি ৬৪ পৃষ্ঠা তথ্যপ্রমাণ সমৃদ্ধ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছি। আগামী ১৬ তারিখ ২টোর সময় তিনি শুনানিতে ডেকেছেন। আমি আমার তথ্যপ্রমাণের সমর্থণে অধ্যক্ষের শুনানিতে থাকব। এটাও আমরা জানি, বিগত দিনে একজন বিধায়কের বিরুদ্ধে বামফ্রণ্ট পরিষদীয় দল অভিযোগ করেছিল। ২৩ বার হেয়ারিং হয়েছে, শুনানি শেষ হয়নি। ১৬ তারিখটা আসছে তারপর যেখানে গেলে বিচার হবে সেই বিচার ব্যবস্থার দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। আমার স্থির বিশ্বাস, যে মুকুল রায়কে চেয়ারম্যান করেছে তাঁর সদস্যপদ রাখতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস।এদিকে এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভোটাভুটি হলেও মুকুল রায় পিএসির চেয়ারম্যান হবে। যদিও একথাও বলেছিলেন মুকুল রায় তো বিজেপির সদস্য। কেন তিনি বিজেপি ছাড়লেন? সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল ভবনে মুকুল রায় বলেছিলেন, পরে লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। এর আগে বহু বিধায়ক দলবদল করলেও বিধায়ক পদে থেকে গিয়েছেন। এবার যে তা হবে না সেই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দল ছাড়ার সব প্রমাণ আছে।

জুলাই ০৯, ২০২১
কলকাতা

JP Nadda: একুশ ভুলে ছাব্বিশে সরকার গড়ার লক্ষ্যে মন্ত্র নাড্ডার

একুশে হয়নি, কিন্তু ছাব্বিশকে পাখির চোখ করে এ রাজ্যে নতুন উদ্যমে পথচলা শুরু করতে চাইছে বিজেপি। মঙ্গলবার বঙ্গ বিজেপির কার্যকরী বৈঠকে এমটাই সাফ করে দিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি এই সভায় যোগ দিয়ে রাজ্যের নেতাদের চাঙ্গা করতে এই দাওয়াই দেন তিনি। বলেন, এ বার আমরা ৩ থেকে ৭৭-এ এসেছি। আগামী ৫ বছরে বিজেপি আরও একটা বড় লাফ দেবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে সরকার গঠন করবে।আরও পড়ুনঃ টুইটার ইন্ডিয়ার প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআরনাড্ডার এ দিনের বক্তব্যের বেশিরভাগ অংশেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান একজন মহিলা হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনা ভোটের পর থেকে আরও বৃদ্ধি পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ ছাড়াও তাঁর অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপির অসংখ্য কর্মী গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। শয়ে শয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে, বা আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে নাড্ডা বলেন, কেরল, পুদুচেরি, অসমেও নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু সেখানে হিংসার ঘটনা ঘটেনি। কারণ সেখানে তৃণমূল নেই। যেখানে তৃণমূল থাকবে, সেখানেই হিংসার ঘটনা ঘটবে।অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ভুয়ো টিকা-কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনেও এ দিন রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতার। তাঁর কথায়, কোভিড ১৯-এর টিকা নিয়েও যদি কোথাও দুর্নীতি হয় সেটাও একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে। সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে জাল ভ্যাকসিন দেওয়া হল। আপনারা যদি এই দুর্নীতিকে সমর্থন করেন, তাহলে এ বার মন্ত্রীরাও ভুয়ো টিকা পেতে শুরু করবেন।

জুন ২৯, ২০২১
কলকাতা

BJP Meeting: বিধানসভা ভোটের হারের কারণ খু্ঁজতেই মরিয়া শুভেন্দু

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বিপর্যয়ের কারণ খুঁজে বার করতে বিধানসভা ধরে-ধরে ফলাফলের কারণ জানতে চাইলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি-র কার্যকারিণী বৈঠকে এই কথাই বলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তবে দাবি আকারে নয়, পরামর্শ দেওয়ার সুরেই হারের কারণ খোঁজা উচিত বলে নিজের বক্তব্যে জানিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে চান বলেও বৈঠকে জানান শুভেন্দু। বিজেপি সূত্রের খবর, শুভেন্দু জানিয়েছেন, যিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন, তাঁকে নিজের এলাকায় সময় দিতে হবে। নিজের বুথে যেন দল জয় পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।আরও পড়ুনঃ এক দেশ এক রেশন কার্ড নিয়ে রাজ্যগুলোকে কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট, জেনে নিনএদিনের বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা। সেই বিষয়টিও জায়গা পায় শুভেন্দুর বক্তব্যে। বিজেপি সূত্রের খবর, শুভেন্দু জানান, খুব তাড়াতাড়ি বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে একটি একদিনের প্রশিক্ষণ শিবির করতে চান তিনি। নতুন বিধায়কদের বিধানসভার নিয়ম এবং কী ভাবে শাসকদলের মোকাবিলা করতে হবে, তা শেখানোর জন্য ওই প্রশিক্ষণ শিবির হবে হেস্টিংসে রাজ্য বিজেপি-র সদর দপ্তরে। সেই শিবিরের উদ্বোধনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে উপস্থিত থাকার অনুরোধও করেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে বলেন, শিবিরে প্রশিক্ষক হিসেবে তিনি ছাড়াও কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়ক থাকবেন। তাঁদের মধ্যে ২০১৬ সালে বিজেপি-র টিকিটে জয়ী বিধায়ক মনোজ টিগ্গা যেমন থাকবেন, তেমনই থাকবেন তৃণমূল থেকে আসা সব্যসাচী দত্ত, জটু লাহিড়িরা। ঘটনাচক্রে, যাঁরা দুজনেই বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন।বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হাজির থাকলেও এই প্রথম বিজেপি-র সংবিধান অনুসারে কোনও সাংগঠনিক বৈঠকে হাজির থাকলেন শুভেন্দু। এই ধরনের বৈঠক সাধারণত নিয়মমাফিক হয়ে থাকে। বড় কিছুর আকর্ষণ ছিলও না। তবে আকর্ষণ ছিল শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে। প্রথমবারের সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি কী বলেন, তার দিকে নজর ছিল রাজ্য থেকে জেলা নেতৃত্বের।যদিও বৈঠকে দেখা মেলেনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র।

জুন ২৯, ২০২১
রাজনীতি

BJP State Committee meeting: আজ বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকের আলোচ্যসূচি ও কৈলাসের উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা

বিধানসভা ভোটে দলের একপ্রকার পর্যুদস্ত হওয়ার পর প্রায় দুমাস কেটে গেলেও ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনার জন্য কোনও বৈঠক ডাকেনি রাজ্য বিজেপি। আজ, মঙ্গলবার দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকেও ভোটের ফল বিশ্লেষণ ঘোষিত আলোচ্যসূচিতে রাখা হয়নি। এ বারের বিধানসভা ভোটে যে দল পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল, পরাজয়ের কারণ খুঁজতে তাদের এত দেরি কেন? উঠছে প্রশ্ন।বস্তুত, রাজ্য বিজেপির একাংশের অভিযোগ, ভোট-পর্বে দলে কেন্দ্রীয় শাসন জারি হয়েছিল। দলে যোগদান করানো, প্রার্থী বাছাই এবং নবাগতদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়াকোনও বিষয়েই রাজ্য নেতৃত্বের মতকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। এ ক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির একটা বড় অংশের ক্ষোভের নিশানায় সবচেয়ে বেশি রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সর্বভারতীয় এক পদাধিকারী, আরএসএসের এক নেতা এবং এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজ্য বিজেপির একাংশের মতে, ভোটের আগে শেষ মুহূর্তে তৃণমূল এবং অন্য দল থেকে যাঁদের নেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনেকের সম্পর্কেই জনমানসে ক্ষোভ ছিল। তা সত্ত্বেও তাঁদের অনেককে প্রার্থী করা হয়েছে। নবাগতদের অনেককে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে জনতার থেকে আরও দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতিবা আন্দোলনের সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্কহীন তারকাদের প্রার্থী করাও মানুষ পছন্দ করেননি। দলের কর্মীদের সঙ্গে তারকা প্রার্থীদের অনেকের আচরণও প্রশ্নাতীত ছিল না।আরও পড়ুনঃ রাজ্যে করোনার বিধিনিষেধ বহাল থাকছে ১৫ জুলাই পর্যন্ত, বাড়ছে ছাড়-চলবে যাত্রীবাসবিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, দল এখানে ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রীয় নেতারা কৃতিত্ব নিতেন। হারের দায়ও তাঁদেরই নিতে হবে। কারণ ভোটের আগে আমাদের কোনও কথা মানা হয়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের শিবির কোনও দিনই মুকুল রায়ের সঙ্গে কৈলাসের ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করেনি। এখন মুকুল তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পরে ঘরোয়া আলোচনায় এই প্রসঙ্গেও কৈলাসকে বিঁধছে দিলীপ-শিবির। তাৎপর্যপূর্ণ হল, আজ বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে কৈলাস যোগ দেবেন এমন কোনও খবর সোমবার রাত পর্যন্ত রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নেই। তাই বক্তার তালিকাতেও তাঁর নাম রাখা হয়নি। অবশ্য এর উল্টো একটি পিঠও আছে। যেমন-- দিলীপ-বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, দিলীপবাবুর ধারাবাহিক উগ্র এবং নারীবিদ্বেষী বক্তৃতার জন্য মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভোটে জেতার উপযুক্ত সংগঠনও গড়ে তোলা হয়নি।আজ বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠকে শেষ বক্তা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। তিনি-সহ বেশিরভাগ নেতাই বৈঠকে থাকবেন ভার্চুয়ালি। দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে রাজ্য পদাধিকারী, কয়েক জন সাংসদ, বিধায়ক-সহ ৫০ জনকে ডাকা হয়েছে। জেলা সভাপতি, বাকি সব সাংসদ ও বিধায়ক এবং রাজ্য কমিটির অন্য সদস্যদের উপস্থিতি হবে ভার্চুয়াল। মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পরে বিজেপির আরও কয়েক জন নেতা এবং জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে দলের অন্দরে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আজ তাঁরা বৈঠকে থাকেন কি না, তা নিয়ে কৌতূহলী রাজনৈতিক শিবির।

জুন ২৯, ২০২১
রাজ্য

BJP in Crisis: ফের ভাঙন বিজেপিতে

ফের পদ্মশিবিরে ভাঙন। এবার দল ছাড়লেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ও দার্জিলিং জেলার পর্যবেক্ষক ভাস্কর দে (Vaskar Dey)। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই দলত্যাগের কথা জানান তিনি। তবে কি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার মতো তিনিও যোগ দিতে চলেছেন ঘাসফুল শিবিরে, সেই জল্পনা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে।দিনকয়েক আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন সপুত্র মুকুল রায় (Mukul Roy)। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তাঁকে স্বাগত জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুকুল রায়ের শিবির বদল নিয়ে জনসমক্ষে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব উদাসীন ঠিকই। তবে তাঁর দলবদল যে গেরুয়া শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তারপর থেকে বিজেপির একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন। কাজের পরিবেশ নেই বলেই অভিযোগ তাঁদের। সম্প্রতি দলবদল করেছেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। যিনি আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি ছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে আলিপুরদুয়ার নিজেদের দখলে রেখেছিল গেরুয়া শিবির। তিনিই এখন তৃণমূলে।আরও পড়ুনঃ কোন কৌশলে রাজ্য তিন টুকরোর দাবি বিজেপি সাংসদদ্বয়ের?সূত্রের খবর, ভাস্কর দে সরাসরি কারও নাম না করলেও দল ছাড়ার আগে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। ভাস্কর জানান, বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2021) টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। কাজ করলেও, যোগ্য সম্মান পাননি বলেও দাবি। আর সে কারণেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর পদত্যাগপত্রও পাঠিয়ে দিয়েছেন। গেরুয়া শিবির ছেড়ে তবে কি এবার তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন? রাজনৈতিক মহলে ক্রমশই সে প্রশ্ন জোরাল হচ্ছে। তবে অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন কিনা, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেননি ভাস্কর। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলেই স্থির করেছেন তিনি।

জুন ২৩, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal